হাসিবুর রহমান ভাসানী |
আজ আমার বাল্যবন্ধু রাতুলের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী;
ক্লাস ওয়ান থেকে এস এস সি পাশ করা অব্দি আমরা একসাথেই পড়াশোনা করেছি;
তারপরে আমি কলেজে ভর্তি হলেও ওর আর কলেজ চৌকাঠে পা রাখার সৌভাগ্যটা হয়নি।
যে দিন সকাল ১০টায় ফলাফল ঘোষণা হয়,সেদিন রাত ন'টায় ওর লাশ আমরা নদীতে খুঁজে পাই।
এবার একটু পেছনে ফিরে তাকানো যাক;
ওরা তিন ভাই,ও সবার বড় ছিলো;
আর ওর বাবা কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতো। কোনো এক অজানা কারনে,ও ছোটোবেলা থেকেই বাবা মায়ের ভালোবাসা বঞ্চিত ছিলো,
বিশেষ করে ওর মায়ের অনাদরে ওর বড় হওয়া।
ওর স্কুলের টিফিন দেওয়া থেকে বেতন কিংবা অভিভাবক সমাবেশ সবকিছুতেই কেমন একটা ওর পরিবারের তাচ্ছিল্যতা ছিলো।
যখন ও ক্লাস ফোর এ পড়তো তখন একবার ওর মায়ের লুকানো টাকা থেকে দশ টাকা চুরি করে আইসক্রিম কিনেছিলো;
ওর মা সেটা জানতে পেরে ওকে সেদিন হাত পা বেধে ভীষণ রকম মারছিল,ওর চিৎকারে পুরো এলাকা ভারী হয়ে গিয়েছিলো;
টানা দুই দিন খেতে দেয় নি ওকে।
সেদিনের পর থেকে ওর মায়ের সাথে ওর দূরত্বটা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে।
ছেড়া জামা,ছেড়া স্যান্ডেল নিয়ে স্কুলে যেতো ওর পরিবারের কারো বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ ও ছিলোনা।
এরপরে অবস্থাটা এমন একটা পর্যায়ে দাঁড়ায় যে,ওর বাসার যে কোনো জিনিস হারিয়ে গেলে বা যদি কোনো হাঁস মুরগিও হারিয়ে যায় তাও একদম নির্দ্বিধায় ওর মা ওর নামে চালিয়ে দেয় যে ও নিয়ে বিক্রি করে দিছে আর এই অযুহাতে ওর কপালে জোটে বেদম প্রহার;
এমনসব কারণে অতিষ্ঠ হয়ে সেই ছোটোবেলা থেকেই ও অন্তত ৮-১০ বার বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল।
অবশ্য লেখাপড়ায় ও বেশ মনোযোগী ছিলো;
এমনি করে একটা অসুস্থ পরিবেশে ও বেড়ে ওঠে,
প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে ততদিনে মাধ্যমিকে পৌঁছে গেছি আমরা।
নবম শ্রেণিতে আমরা উঠে পড়ি স্কুলের ছাত্রাবাসে,
ও আর আমি একসাথেই ছিলাম।
একটা সময় পর ওর বাবা স্কুলের টিউশন ফি দেয়াটাও বন্ধ করে দেয়,
ওকে অনেকবার নিতেও এসেছিলো,ও যায়নি তার সাথে;
ওর বাবা যতক্ষণ স্কুল হোস্টেল না ছাড়তো ততক্ষণ
ও স্কুলের পুরানো ভবনটার ছাদে বসে থাকতো;
ওনি চলে গেলে ও আবার রুমে আসতো।
ও জানতো তার সাথে দেখা করলেই ওকে ভুলিয়েভালিয়ে বাড়ি নিয়ে যাবে আর কোনো একটা কাজে লাগিয়ে দেবে; ওর পড়াশোনাটা ওখানেই শেষ হয়ে যাবে,তাই তার সাথে দেখা করার সাহস হতোনা ওর।
টিউশন ফি জোগাতে ও একটা খাবার হোটেলে রোজ বিকেলে কাজ করতো,পরে অবশ্য হেড স্যার জানার পরে ওর টিউশন ফি মওকুফ করে দেয়।
এমনি করে দেখতে দেখতে আমরা এস এস সি পরীক্ষা দিলাম।
এরপরের ফাঁকা সময়টায় ও ওর বাবার সাথে কাজে লেগে পরে।
ওদের পুরানো ঘর টা ভেঙে নতুন বাড়ি তৈরির কাজ পুরোদমে চলছে;
দু তিন জন শ্রমিক ও রাখা হয়েছে।
এদের মধ্যে বাদল নামের একজনের সাথে ওর বেশ আলাপ জমে যায়;
বাদল আবার একটু অন্য কেসেমের লোক,কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে তার সিদ্ধি খেতে হয়।
একটা পলিথিনে করে রোজ নিয়ে আসে আর দু ঘন্টা কাজ করে খানিকটা ব্রেক নেয় আর সেই সময়টায় আশেপাশের থেকে একটা শক্ত কাগজ কুড়িয়ে সেটায় মুড়ে সিদ্ধি টানে,এতে নাকি সে আশ্চর্যরকম কর্মশক্তি ফিরে পায়।
ওইদিন রাতুলকে আমিই খবরটা দিলাম যে আগামীকাল পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে।
আমি সকাল নয় টার দিকে এসেছিলাম ওদের বাড়িতে তখন অব্ধি সব একদম ঠিকঠাক ই ছিলো;
দশটায় রেজাল্ট দিলো,এ গ্রেড পেয়ে পাশ করেছে রাতুল,বেশ উচ্ছাসিত,ওর বাবাকেও সামান্য খুশি মনে হচ্ছে কিন্তু ওর মায়ের মধ্যে কোনোরূপ পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি রেজাল্ট শুনে।
এই আনন্দের ফাঁকে বাদলও সিদ্ধি খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে,
পুরানো আসবাবের সাথে পড়ে থাকা একটা হলুদ রঙের শক্ত কাগজ দেখে রাতুলকে সেটা আনতে বললো;
ও কাগজটা নিয়ে এসে যখনই বাদলের হাতে দেবে তখন হঠাৎ করেই কাগজটার মাঝ বারবার ওর নামটা দেখে একটু বিস্মিত হয়।
কাগজের উপরটা পড়ার পর বুঝতে পারলো এটা ওর ছোটোবেলার টিকা নেয়ার কার্ড।
কাগজটা পড়তে গিয়ে হঠাৎ ও চমকে যায়,চমকে যাওয়া না ঠিক ও ফ্যালফ্যাল করে অনেক্ক্ষণ তাকিয়ে থাকে।
বাদল জিজ্ঞেস করলেও কোনো উত্তর না দিয়ে ও সেদিন আমার কাছেই প্রথম চলে আসছিলো।
ওর মায়ের নামটা ভিন্ন ছিলো ও কাগজটায়,
মানে ও এতদিন যাকে মা ডাকতো বা সব ফর্মে মায়ের নামের জায়গায় যেই নামটা লিখতো সেই মানুষটা আর ওর জন্মের পরের টিকাদানের কার্ডে যে মহিলার নাম তারা দুটো আলাদা মানুষ,আলাদা অস্তিত্ব।
খানিকক্ষণের জন্য বুঝতে পারছিলাম ও ভেতরে ভেতরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
সতেরো বছরের মায়ের ভালোবাসা বঞ্চিত জীবনটা হঠাৎ মায়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠলো।
বাবার কাছে সাহস করে জিজ্ঞেস করার শক্তিটা বরাবরই ওর ছিলোনা।
ওর কাছের মানুষ বলতে আর একজন ছিলো,বাড়ির পাশের এক বৃদ্ধ মহিলা,সম্পর্কে ওর একরকম দাদি হন তিনি।
দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে রাতুল তার কাছে যায়,
রাতুলের ভীষণ অনুরোধকে উনি প্রত্যাখ্যান করতে পারেন নি,উনি বলা শুরু করলেন,
তোর মাকে যখন তোর বাপ ছেড়ে দেয় তখন তোর বয়স সবে আড়াই বছর।
এর ছ মাসের মাথায় তোর বাপ আবার বিয়ে করে।
রাতুলের মনে তখন অন্য একটা প্রশ্ন ঘুরছে,যে প্রশ্নটা এতগুলো কথার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
রাতুল জিজ্ঞেস করলো আচ্ছা দাদি আমার মা এখন কোথায় জানো তুমি..?
রাতুলের মন যে তার মাকে ভীষণ খুঁজছে,এতগুলো বছরের না পাওয়া এক ভালোবাসা খুঁজছে।
ওর দাদি,বললো শুনেছিলাম গাঙ্গের ওপারের হালিমের সাথে নাকি এ ঘটনার দুবছর বাদে
আবার বিয়ে হয়ে গেছে।
রাতুলের মন অবশ্য এগুলোর তোয়াক্কা করেনি।
যেমন করেই হোক মায়ের সাথে দেখা করেই ছাড়বে।
সমীর মাঝীর জ্বর তাই কাল থেকেই খেয়া পারাপার বন্ধ হয়ে আছে।
যাওয়ারও উপায় নেই,যেতে হলে কেবল রাতুলদের ছোট ডিঙ্গিটা নিয়ে যেতে হবে;
কিন্তু একদিকে আকাশে ঘন মেঘ জমে আছে,ডিঙি টা নিয়ে গেলেও নদী পেরোতে পাক্কা আধঘন্টা লাগবে।
ওর সাথে আমার শেষ দেখা ওইটাই দুপুর ১২টার দিকে।
রাতুল ডিঙি নৌকাটা নিয়ে একাই বৈঠা নেড়ে চলা শুরু করলো,পিছন থেকে ওর বাবা দৌড়ে এসে ওকে অনেক্ক্ষণ ডাকলো,জিজ্ঞেস করলো কোথায় যাস,ও কোনো সাড়াশব্দ না করে ভরা জোয়ারেই চলা শুরু করলো।
চল্লিশ মিনিট লেগে গেলো ওপারে যেতে,ভীষণ আকাশ ডাকছে,যে কোনো মুহূর্তেই ঝড় উঠতে পারে।
একলোককে জিজ্ঞেস করে,ও সেই হালিমের বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করলো।
৫ মিনিটের মাথাতেই পৌঁছে ও গেলো।
একটা টিনের দোচালা ঘর।
ছোট একটা উঠান,পাশেই ঘন সুপারি বাগান,উঠোনের এক কোনে একজন দাঁড়িওয়ালা লোক কাজ করছেন,পুকুরধারে ৬-৭ বছর বয়সী দুটো বাচ্চা খেলছিলো।
আর নীল কাপড়ে মাঝবয়সী এক মহিলা বৃষ্টি আসবে ভেবে শুকনো মরিচ ঘরে তুলছেন।
রাতুল কি করবে কিছু বুঝতে পারছিলনা;
ও তো ওর মাকে চিনেনা,বুদ্ধিজ্ঞান হওয়ার পর দেখেওনি কোনোদিন।
বাচ্চাদুটো মা মা বলে চিৎকার দিয়ে ভদ্রমহিলার কাছে আসলো,এবারের মা শব্দটা কেন জানি রাতুলের বেশ বুকে লাগলো।
রাতুল হয়তো চলেই আসতো ওর মাকে এক নজর দেখে,এটাই বোধহয় উপযুক্ত ছিলো কিন্তু বয়সটা যে সতেরো;
এ বয়সের ছেলেমেয়েরা যে কোনো কিছু করার আগে খুব একটা ভাবে না।
রাতুল চাইছিলো অনেকবার মা বলে ডাক দিবে কিন্তু অস্পষ্ট,কেনো জানি ওর মা বলে চিৎকার দেয়া শব্দটা গলা থেকে আর বাইরে বেরুলো না।
একটু পড়ে ওর মা ঘরের মধ্যে চলে গেল,
হঠাৎ পুকুরের একপাশটায় দাঁড়ানো হালিমের চোখে পড়লো,জিজ্ঞেস করলো ও কে,আর কি চায় এখানে..?
ওর কোনো উত্তর ছিলোনা ও কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললো,এই বাড়িতে আমার মা থাকেন; আমি তাকে নিতে এসেছি।
হালিমের তৎক্ষনাৎ মেজাজ বিগড়ে গেল;
কষে একটা চড় দিলেন ওর গালে,আর বললো যদি না যাস তাহলে কিন্তু চোর বলে গ্রামবাসীর হাতে তুলে দেব,তোকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে।
-তা ফেলুক কিন্তু আমি মায়ের সাথে দেখা করবো,মাকে না নিয়ে যাবোনা।
-হালিম আরো দুটো চর কষিয়ে এক ধাক্কায় ওকে মাটিতে ফেলে দিল;
-রাতুল হাতজোড় করে বললো একবার আমার মায়ের সাথে আমি দেখা করতে চাই।
- হালিম ওর প্রত্যেকটা কথায় কথায় ওকে আরো শাসাচ্ছে
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিটা ক্রমশ মুশলধারে শুরু হতে চলছে তখন।
এদিকে গোলমালের শব্দে 'সুলতানা বানু'
মানে ওর মা ঘর থেকে বেড়িয়ে এলো,
-কিরে ওখানে কে ও,আর তুমি ঘরে আসোনা কেনো,বৃষ্টি আরে বাড়তেছে তো।
হালিম বুঝতে পারলো ওকে না বিদায় করে ঘরে আসলে কাজ হবে না ও আবার আসবে তাই সুলতানা বানুর কথায় কান না দিয়ে তিনি রাতুলকে গালমন্দ করছিলেন।
সুলতানা কাছাকাছি এসে পড়ায় হালিম বললো,
দেখো কত্ত বড় সাহস ও আমার গাছের ডাব চুরি করতে যাচ্ছিলো।
ওকে আজ উচিত শিক্ষা না দিলে আবার চুরি করবে।
রাতুলের মুখের দিকে তাকিয়ে সুলতানা বানু বললো,এ ছোকরাকে তো এ পাড়ায় দেখিনি কোনোদিন।
হালিমের চড়ে ঠোট ফেটে সেখান থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে ওর।
সুলতানা বানু জিজ্ঞেস করলো তুই কে রে...বাড়ি কই...?
রাতুল হু হু করে কেঁদে উঠলো তখন।
হালিম বললো তুমি ঘরে যাও আমি একে চৌকিদারের বাসায় তুলে দিয়ে আসি,পিটিয়ে হাড় গুড়ো করে দিক,শালা চোরের জাত।
রাতুলকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিলো হালিম
আর এদিকে সুলতানা বানু ও ঘরের দিকে যাওয়া শুরু করলেন;
যেইনা উনি ঘরে পা দিলেন হঠাৎ রাতুল জোরে চিৎকার দিলো...মা...
সুলতানা বানু থমকে দাঁড়ালেন; দৌড়ে আসছিলেন রাতুলের দিকে।
হালিম তখন ওকে ছেড়ে সুলতানা বানুকে জোর করে ঘরে নিয়ে যাচ্ছিলেন....
পেছন থেকে রাতুলের আধভাঙ্গা গলায় মুহুর্মুহু চিৎকার ও মা,মাগো,আমি তোমাকে নিতে এসেছি মা।
সুলতানা বানুকে ঘরে ঢুকিয়ে দড়জা লাগিয়ে দিলেন হালিম।
এদিকে কাকভেজা হয়েও রাতুল টানা দু ঘন্টা ধরে পড়ে আছে আর ক্ষনে ক্ষনে মা মা বলে ডাকছে।
আড়াই ঘন্টা পড়ে সুলতানা বানু ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন,রাতুলকে দূর থেকেই বললেন,আমি তোর মা না,তুই চলে যা,
বলেই তৎক্ষণাৎ ঘরে চলে এলেন।
[পাঠকদের জ্ঞাতার্থে: হালিম ঘরে নিয়ে সুলতানাকে মারধোর করে,এবং এমন একটা পর্যায় দাঁড়ায় যে,তার হাতে দুটো অপশন হয় রাতুলকে পরিচয় না দিয়ে নিজের এই ঘরের দু সন্তান নিয়ে থাকবে নয়তো রাতুলের সাথে বেরিয়ে যাবে আর কোনোদিন ওকে ঘরে ঢুকতে দিবে না,সুলতানার মন তখন মাতৃস্নেহকে উপেক্ষা করে সমাজ আর সংসার রক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বাধ্য হলো]
রাতুল অনেক্ক্ষণ দড়জাবন্ধ বাড়িটার দিকে তাকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নদীর ধারে ডিঙিটায় এসে বসলো।
বৃষ্টি এতক্ষণে কিছুটা কমলেও বাতাস খুব বাড়ছে,সেই সাথে নদীর পানিও।
রাতুলের তখন নিজের জীবনের প্রতিই একটা অনীহা জন্মে গেল; বৈঠা চালনা শুরু করলো রাতুল,বাতাসের গতিও আস্তে আস্তে বাড়তে শুরু করলো।
একটা সময় বাতাসের ঝাপটায় মাঝনদীতে উল্টে যা রাতুলের ডিঙিনৌকা,সেই সাথে ডুবে যায় রাতুলের মাতৃস্নেহের আবদার..........এবং রাতুল
বিকেলের পর শুরু হয় রাতুলকে খোঁজা,প্রচন্ড ঝড় উপেক্ষা করেও রাতুলের বাবা একটা বড় নৌকা নিয়ে নেমে পড়ে রাতুলের খোঁজে;
সন্ধ্যে সাতটা তখন অব্ধি রাতুল নিখোঁজ.......
রাত ন'টার দিকে রাতুলের লাশ ভেসে ওঠে পায়রা নদীর খেয়াঘাট থেকে সামান্যদূরে................!!!!!
আমার একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক একদিন একটা কথা বলেছিলেন...'অনেক পুষ্প লোকচক্ষুর অন্তরালেই ঝড়িয়া পড়ে'
কেন যেন,সেই অদেখা পুষ্পের সাথে আমার বাল্যবন্ধু রাতুলের বড্ড মিল খুঁজে পাচ্ছি।।
0 Comments