মুভির নাম: আহারে মন ❤
বুঝতে পারছিনা কি লিখব।
ঘোর টা ঠিক এখনো কাটেনি।
না এটা কোনো থ্রিলার মুভি নয় বা লিওনার্দো ডিকাপ্রিওর শাটার আইল্যান্ড টাইপ মুভিও নয়,
একটা ফ্রেমে বাধা ৪ টা গল্প,না গল্প বললে ব্যাপারটা ভুল হবে,এক একটা বাস্তব চিত্র, মুভিটার প্রত্যেকটা পার্টের মধ্যে এতটাই ঢুকে যাচ্ছিলাম যে মনে হচ্ছিলো এই এই চরিত্রগুলো আমি,বা আমার আশেপাশের গল্পটাই বলে দিচ্ছে,
কি অভিনয়, উহহ্. বলার মতো না।
এতটা ন্যাচারাল,এতটা রিয়ালিস্টিক আগে কখনো দেখিনি বা খুবই কম দেখেছি।
👉চিত্রাঙ্গাদা চক্রবর্তী,গল্পে যার নাম তিতলি
দেবের অন্ধ ভক্ত যতটা, তার থেকে বেশি সে মনে প্রানে দেবকে ভালোবাসে।
একটা ক্যান্সারে আক্রান্ত টিনেজার মেয়ে,
কি অভিনয়, কি এক্সপ্রেশন,কি বাচনভঙ্গি,
আমার মনে হয়না এমন অভিনয় আগে কারোর থেকে আমি দেখেছি,
চোখ জুড়ানো নয়,জাস্ট হৃদয় ছুয়ে যাবে।👌👌
👉এরপরের গল্পটা আদিল হুসাইন গল্পে যার নাম পূর্ণেন্দু পাহাড়ি তার জাস্ট এক্সপ্রেশন গুলো অনবদ্য ছিলো।
সে যতটা না কথা বলেছে তার থেকে বেশি এক্সপ্রেশন দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন,একজন মাঝবয়সী মানুষ,জীবনের নানা প্রতিকূলতায় যার বিয়ে করাটা আর হয়ে ওঠেনি।
এয়ারপোর্টের চাকরি প্রতিদিন হাজারো মানুষের আসা যাওয়ার সাক্ষী,পাওলি দামের সাথে দেখা পরিচয় ভালোলাগা,কত কি,কতটা ম্যাচিউরড অ্যাক্টিং বা লেভেল অফ অ্যাক্টিং যাকে বলে।👌
একটা রুটিনের বেড়াজালে আটকানো একাকী একটা মানুষের এই চরিত্রটিতে অন্তত আমি তাকে ছাড়া দ্বিতীয় কাউকে ভাবতে পারছিনা।
👉এরপরের গল্পটা ছিলো অঞ্জন দত্তর মানে বরুন সরকারের,সতেরো বছর ধরে যে লোকটা একাকীত্বের সাথে লড়াই করে চলছে,বৃদ্ধাশ্রম টাই যার শেষ ঠিকানা,সেখানের নতুন বাসিন্দা হিসেবে চারুলতা দত্তর (মমতা শংকর) ওঠা,
একটা না বলা অথচ অদ্ভুত চাওয়া অঞ্জন দত্তের চোখেমুখে ভাসছিল।
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মমতা শংকরের কাছে প্রতিটা মাসে রুটিন করে একটা চিঠি আসা,অথচ যে লোকটাকে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে খুঁজতে গিয়েও আর পাওয়া হয় না।
👉এরপরের গল্পটা সুজি ও মাইকেল টেন্ডুলকারের মানে পার্নো আর ঋত্বিকের,
তারাও তাদের জায়গা থেকে বেস্ট টা দিয়েছে।তবে এ ছবিতে ঋত্বিককে বেশ দারুন লেগেছে।
ওভারঅল একটা প্যাকেজ যাকে বলে।
অবশ্য এসব মুভির ক্ষেত্রে স্পয়লারের কিছুই নেই,কারন এখানে সবার অভিনয় ই আপনাকে প্রশান্তি দেবে,কখনো কখনো গল্পের মাঝে দর্শক ডুব দেবে এমনটাই।
আসলে এ সিনেমায় গল্পটাই আসল নায়ক।
হ্যাপি ওয়াচিং ❤
0 Comments