একটি ভিন্ন ধারার গল্প "সাপলুডু"...
গতকালই রিলিজের সাথে সাথেই ব্যস্ততার মধ্যেও দেখে আসলাম সিনেমাটি। কেমন ছিলো সাপলুডু? সেটা নিয়ে খুব সংক্ষেপে রিভিউ দিচ্ছি। (ব্যস্ততার কারণে দেরীতে লিখতে বসলাম)
⏺ গল্পঃ
এখানে এমন একটি গল্প দেখেছি যেখানে বারবার শুধু সাসপেন্স ছিলো। কোন ক্যারেক্টার নেগেটিভ আর কোনটা পজেটিভ সেটা ধরতেই পারা যাচ্ছিলো না।
প্রতিটা সিন আপনাকে বসিয়ে রাখতে বাধ্য, আপনি আগ্রহ নিয়েই দেখতে থাকবেন গল্পের পরবর্তী মোড়ের জন্য! এটাই তো দরকার একটি থ্রিলার সিনেমায়...
গল্প নিয়ে কোনো কিছুই বলছি না, তাতে যারা দেখেননি তাদের মজাটা নষ্ট হবে। আর যারা রিভিউ লিখবেন তাদের কাছেও অনুরোধ, গল্প নিয়ে বেশি ডিটেইলে লিখবেন না। অন্যদের উপভোগ করতে দিন।
⏺ অভিনয়ঃ
সর্বপ্রথম আসি আরিফিন শুভ'র ব্যাপারে। গল্পের সাথে মিশে গিয়েই অভিনয় করেছেন, যা ছিলো বেশ প্রশংসার দাবীদার। এই সিনেমায় তার চরিত্রটা তিনি যথাযথ ভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন।
বিদ্যা সিনহা মীম এর অভিনয় ছিলো নিখুঁত এবং অমায়িক।
জাহিদ হাসানের চরিত্রটা যতটা প্রয়োজন ছিলো উনি ঠিক ততটাই দিয়েছেন এবং বেশ ভালোই বলতে হবে, বিশেষ করে একদম শেষের দিকের সিনগুলো ছিলো যথার্থ।
তারেক আনাম খানের অভিনয় এবং শতাব্দী ওয়াদুদ এর চরিত্রটাও ছিলো ক্লিয়ার ভাবেই প্রশংসার যোগ্য।
অন্যদিকে সালাহউদ্দিন লাভলু সিআইডি চরিত্রেও ভালোভাবেই দর্শকদের পুরোটা গল্পে মাতিয়ে রেখেছেন।
⏺ গানঃ
সিনেমায় গান তিনটা ছিলো। প্রথমের গান আর সাসপেন্স সিন একসাথে মিশানো ছিলো যেটা অত্যন্ত ভাল লেগেছে আমার। সিনেমাটা দেখলেই বুঝবেন।
অন্যান্য দুটি গানের মধ্যে হৃদয় খানের গানটি আমার কাছে বেশিই ভাল লেগেছিলো ❤
⏺ ডিরেকশন ও সিনেমাটোগ্রাফিঃ
পরিচালক গোলাম সোহরাব দোদুল ভালোই পরিচালনা করেছেন মানতে হবে। যদিও কিছু কিছু দৃশ্য অনেক লম্বা করা হয়েছে যা আমার মতে অপ্রয়োজনীয় ছিলো। গল্প আড়াই ঘন্টা না টেনে দুই ঘন্টায় আনলে আরও উপভোগ্য হতো। তবে অনেক শট ছিলো ক্রিয়েটিভ!
জঙ্গল এর উপর থেকে ড্রোন শট নেয়া, মুরগীর গলায় একশন ক্যাম বেধে দিয়ে শট নেয়া এগুলোর জন্য ওইসব সিন অনেকটাই আলাদা লেভেল হয়েছে 👍
🌼 সবশেষে এটুকুই বলতে চাই যারা দেখেননি তারা দেখে আসতে পারেন সিনেমাটি। আশা করি ভালো লাগবে।
আর হ্যাঁ, শেষের পোস্ট ক্রেডিট সিন না দেখে বের হবেন না। ওখানে আরেকটি চমক রয়েছে।
এগিয়ে যাক বাংলা সিনেমা, ভালো সিনেমার পক্ষে আছি সবসময় ❤❤
Courtesy : Mainul Abir
0 Comments