আজ মহালয়ার দিনে টালিগঞ্জেেে দেয়া সবথেকে বড় সারপ্রাইজ ছিলো জিৎ এর আপকামিং সিনেমা অসুর এর টিজার।
এতটা অসাধারণ, এতটা এপিক,এতটা নিঁখুত যে প্রথম দেখায় আপনার মনে হতেই পারে এটি জিৎ এর ক্যারিয়ারের সবথেকে সেরা মুভি সাথী কে ও হার মানাতে পারে।তার লুকটা দেখে অনেকটা সাথী হারা সিনেমায় তার লুকের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যাবে।
হয়তোবা এ সিনেমায় আমরা হিরোইজম জিৎকে ছাপিয়ে অভিনেতা জিৎকে দেখতে পাবো।
টিজারের প্রথম লুকেই দেখা যায় পাগলা,খ্যাপাটে ভীষণ যাযাবর জিৎকে সেই সাথে ব্যাকে প্রসেনজিৎ এর কথাগুলো,একদম ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।
কিছু কিছু মানুষ অনেক কিছু আগে থেকেই বলে দিতে পারে,আপাতদৃষ্টিতে আমরা তাদের পাগল বলে দাবি করলেও......
এখন আসা যাক টিজার এনালাইসিস এ,
প্রথমেই বলে রাখি,জিৎ আবির এবং নুসরাত ৩ জনই আর্টিস্ট এবং একটা সময় বেশ ভালো বন্ধুত্ব ছিলো।
টিজার এনালাইসিস:
সিন-০১
এ সিনে দেখা যায় তিনি রাস্তার পাশে হেলান দিয়ে সিগারেট খাচ্ছেন। এ লুকটায় তার মধ্যকার ভীষন শূন্যতা কিংবা কষ্টকে পুড়িয়ে দিচ্ছেন এমনটা ফুটে ওঠে।
সিন-০২
এ সিনে দেখা যায় জিৎ এবং আবিরের মধ্যকার একধরনের মারামারি।। অথচ তারাই একসময় ভীষন কাছের বন্ধু ছিলেন। এবং এই দ্বন্ধ এর কারনটাও নুসরাত৷ কারন,বর্তমানে আবির এবং নুসরাতের মধ্যে এক ধরনের সম্পর্ক দেখা যায়।।
সিন -০৩
এ সিনটিই গল্পের অনেকটা বলে দেয় কারন এ সিনে দেখা যায় জিৎ তার ঘর থেকে নুসরাতকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন ভীষন ক্ষোভ নিয়ে। কারনটা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় একসময় তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকলেও বর্তমানে আবিরের কাছে চলে যাওয়া এক ধরনের লাভ ট্রায়াংগেল কিংবা ভীষন কোনো একটা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ
সিন -০৪
এ সিনে জিৎকে দেখা যাচ্ছে তার ঘরে তারই আঁকা একটা দেবীমূর্তির সামনে।এখানে মুলত নুসরাতের প্রতিচ্ছবি ই বোঝানো হয়েছে |
সিন -০৫
এই সিনটি মুলত জিৎ এর সাথে দেখা হওয়ার পরের সিন।মানে জিৎ এর বর্তমান অবস্থা তার থেকে পাওয়া কষ্ট।বহুদিন পর তাকে তাড়িয়ে দেয়া |
কোনো এক অজানা কারণে নুসরাতকে জিৎ তার ঘর থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে৷
সিন -০৬
এ সিনে দেখা যায় নুসরাত আবিরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে।। এমনটাও হতে পারে এরা দুজন ভালো বন্ধু
জিৎ কোনো এক কারনে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছে অর্থাৎ এক কথায় আত্মগোপন ।
সিন -০৭
এ সিনটিই ক্লাইম্যাক্স এর সিন৷
হয় জিৎ সুইসাইড করবে নয়তো কাউকে খুন করবে অথবা আবিরের হাতে খুন হবে |
সিন ০৮-০৯
এখানে জিৎকে দেখা যায় পুজোমন্ডের সামনে লোকের ভীড়ে কাউকে খুঁজছেন |
সিন ১০-১১
নিজের আঁকা বিশাল দূর্গার সামনে শুয়ে থাকা |
এটি সিনেমার শেষের দিকের দৃশ্য |
সিন ১২-
চিন্তিত আবির এটা শতভাগ শিউর যে তার চরিত্রে ও একটা নেগেটিভ কিছু আছে।।
সম্ভবত সবথেকে বেটার লুক ১৩ সিন।।
ভীষন রাগ আক্ষেপ নিয়ে জিৎ এর কাছ থেকে চলে যাচ্ছেন।।
0 Comments