পড়ে ফেললাম রুদ্র গোস্বামী র 'জল পেরোচ্ছে রোদ্দুর'।
বন্ধুপলাশে বেড়ে ওঠা রনিত আর অর্ণাকে কেন্দ্র করেই এই উপন্যাসটি এগিয়েছে।
দুজনের প্রণয় তারপর অভিমান সবশেষে দূরত্ব।
কিন্তু তার পরেও তাদের মধ্যের না বলা একটা অস্ফুট টান লেখক তার লেখনীতে তুলে ধরেছেন।
অর্ণার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তবুও নিশ্চুপ রনিত,
দুজনেরই শৈশব,কৈশোর রিষ্টপুষ্ট যে বন্ধুপলাশে সময়ের স্রোতে গা এলিয়ে ভেসে চললেও কিংবা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেও দুজনের কেউই চায়না কৈশোরের ভালোবাসার বন্ধুপলাশ কে ছেড়ে যেতে।নিতান্ত ভুলবোঝাবুঝির পরিনতি ই গল্পের অনেকটা অংশ জুড়ে ছিলো।
তবে উপন্যাস টা অতিরিক্ত দীর্ঘায়িত করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে।
মতামত: এভারেজ ছিলো লেখনীটা।
আমার কাছে ভালোলাগার অংশগুলো :
* মানুষের জীবনে বোধ হয় এরকম অনেক 'কেন' থাকে,যার উত্তর খুঁজতে খুঁজতে গোটা একটা জীবন পেড়িয়ে গেলেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়না।
* টেবিল থেকে একটা একটা করে কাগজের ডেলা তুলে নিয়ে ভাঁজ খুলতে থাকে বিনি,
একটা পাতায় শুধু লেখা,"জল কেমন আছো তুমি"
একটাতে লেখা,"সুখ তোর বুকেও আকাশ হোক,মেঘ কাঁদুক"
একটাতে লেখা,"আমার বুকে আর কখনো রোদ উঠবেনা জল,নিজের রোদই আমাকে পুড়িয়েছে নিজে"
আরেকটা পাতা একদম সাদা।
*ভুল অভিমান আনব্রেকবল কাচের ঘরের মধ্যে মানুষকে আটকে রাখে,আর যাকে আটকে রাখে সে বাইরের সবকিছু দেখতে পারে কিন্তু সে চাইলেও বাইরে বেরিয়ে কিছু ছুঁতে পারে না।অভিমান দূরত্বে পৌঁছানোর আগেই ভেঙ্গে ফেলতে হয়।"
*ভালো থাকিস,সকাল যেমন ভালো থাকে সূর্যের আলোয়----তোর পুড়ে যাওয়া রোদ্দুর
0 Comments